সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার এরান্দহ গ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে গলা কেটে স্ত্রীকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর স্বামী মোতালেব হোসেন নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন । নিহত রোজিনা খাতুন (২৪) ওই গ্রামের আব্দুল আজিজের মেয়ে।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকালে পুলিশ তার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে। সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতর চাচাতো ভাই জাহিদ হাসান জানান, রোজিনা ও মোতালেব তিন বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করেন। মোতালেবের পরিবার এ বিয়ে মেনে নেয়নি, ফলে তিনি শ্বশুরবাড়িতেই বসবাস করছিলেন। ছয় দিন আগে ফেনী থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরেন মোতালেব। এরপর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ দেখা দেয়।
বুধবার গভীর রাতে কথা কাটাকাটির পর দু’জনেই ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে পাশের ঘর থেকে রোজিনার ভাতিজা বায়জিদ কান্নাকাটির শব্দ শুনে জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখতে পান, রোজিনার গলাকাটা রক্তাক্ত মরদেহ বিছানায় পড়ে আছে এবং তার পাশে স্বামী মোতালেব রক্তাক্ত অবস্থায় কাতরাচ্ছেন। পরে তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করে এবং আহত মোতালেবকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আহত মোতালেব হোসেনকে প্রথমে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে এবং পরে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তিনি বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন।
সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, সলঙ্গা থানার এরান্দহ এলাকায় এক নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চলছে।