বয়স মাত্র ১৭। এই বয়সেই স্প্যানিশ তারকা লামিনে ইয়ামালের সম্পর্ক নিয়ে হচ্ছে তুমুল চর্চা। স্প্যানিশ ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট ও ইনফ্লুয়েন্সার ফাতি ভাসকেসের সঙ্গে নাম জড়ানোর পর ২৯ বছর বয়সী প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট নির্মাতা ক্লদিয়া বাভেলের সঙ্গেও সম্পর্কের গুঞ্জন চলছে ইয়ামালের। তবে সব গুঞ্জন উড়িয়ে ইয়ামাল নিজেকে ‘সিঙ্গেল’ মানে ‘একা’ দাবি করেছেন।
আগামী ১৩ জুলাই ১৮ বছর বয়সে পা দিতে যাওয়া ইয়ামাল এখন ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে তার ছুটি উপভোগ করছেন। সেখানে তার ফুটবলীয় আদর্শ নেইমার তাকে আতিথ্য দিচ্ছেন। মাঙ্গারাটিবায় নেইমারের বাড়িতে একটি পার্টিতে অংশ নিয়েছিলেন ইয়ামাল। সেখানে চলেছে লাইভ সঙ্গীত। নেইমারের সঙ্গে সেখানে দেখা গেছে ইয়ামালকে।
গতকাল রবিবার নেইমারের সঙ্গে হাসিখুশি ভঙ্গিতে ছবি তোলাসহ আরও কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছেন ইয়ামাল। সম্পর্কের বিতর্কের মধ্যেই নিজেকে একা দাবি করে ইয়ামাল সেই পোস্টের ক্যাপশনে লেখেন, ‘একা এবং সুখী, এটা ব্রাজিল।’
সেই পোস্টের নিচে হাসির ইমোজিসহ নেইমার লেখেন, ‘একজন ‘‘কিরিয়া’’ হয়ে উঠেছে (ইয়ামাল)।’ ব্রাজিলিয়ান ভাষায়, কিরিয়া বলতে এমন একজনকে বোঝায়, যে একটি ফাভেলা বা শ্রমিক শ্রেণীর পাড়ায় বেড়ে উঠেছে এবং যারা তাদের শিকড়ের ওপর গর্ব করেন।
ব্রাজিল থেকে বিদায়ের সময়, ইয়ামাল তার ভ্রমণের বিভিন্ন মুহূর্ত ধারণ করে ইনস্টাগ্রামে একাধিক এই ছবি শেয়ার করেন। এর মধ্যে কিছুতে বন্ধুদের সঙ্গে হাসছেন, স্থানীয় পুলিশের সাথে পোজ দিচ্ছেন, হেলিকপ্টারে উড়ছেন এবং ডাবের পানিতে চুমুক দিচ্ছেন।
সম্প্রতি ইয়ামালের সম্পর্কের প্রথম গুঞ্জন ওঠে ভাসকেসকে ঘিরে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে দাবি করা হয় ১৩ বছরের বড় ভাসকেসের সঙ্গে সম্পর্ক চলছে ইয়ামালের। দুজনেই ইতালির একই লোকেশন থেকে ছবি পোস্ট করেছেন। যেখানে তাদের নৌকাভ্রমণ, সুইমিং পুলের পাশে বিশ্রাম করা এবং হেলিকপ্টারে ভ্রমণ করতে দেখা যায়। এইসব থেকেই জল্পনা শুরু হয়, তারা হয়তো সম্পর্কের মধ্যে আছেন। তবে ইয়ামাল গুজব উড়িয়ে দিয়েছেন। গসিপ বিশেষজ্ঞ হাভি দে ওয়ায়োসের সঙ্গে কথা বলে তিনি নিশ্চিত করেন, তাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই।
পরে ইয়ামালের নাম জড়ায় বাভেলের সঙ্গে। একটি স্প্যানিশ টেলিভিশন শো’তে দাবি করা হয়, ক্লদিয়া বাভেল নাকি ইয়ামালের সঙ্গে একটি ডেট আয়োজনের চেষ্টা করেছিলেন। এতে যুক্ত ছিলেন এক ফটোগ্রাফার, যিনি তাদের ছবি তুলে তা বিক্রি করে লাভবান হওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। শোটি দাবি করে, পুরো বিষয়টিই ছিল একটি ‘মিডিয়া ফাঁদ’।
শো চলাকালে ফোনে সরাসরি যুক্ত হন ইয়ামাল। তিনি বলেন, ‘এমন কিছু কখনোই ঘটেনি। বাভেল আগ্রহ দেখালেও আমি ‘না’ বলেছিলাম। আমাদের কখনো দেখা হয়নি। আর আমার মা কখনো কোনো মেয়েকে বাসায় ঢুকতে দেন না।’
ইয়ামালের এমন বক্তব্যের পর ক্লদিয়া বাভেল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে একটি বিবৃতি দিয়ে তার প্রতিবাদ করেন। তিনি দাবি করেন, ‘তিনিই (ইয়ামাল) আমার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন, দেখা করার জন্য জোর করেছেন। বলেছিলেন, মায়ের সঙ্গে থাকেন, অথচ বাস্তবে তিনি একা থাকেন। এখন তিনি দাবি করছেন, আমাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন—যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এমনকি বলছেন, আমাদের দেখা হয়নি। অথচ একাধিক সামাজিক অনুষ্ঠানে আমরা একসঙ্গে ছিলাম।’
বাভেল আরও বলেন, তিনি কখনোই কোনো অপ্রাপ্তবয়স্কের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েননি বা কোনো নির্ধারিত সাক্ষাতে রাজি হননি। নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে তিনি লেখেন, ‘আমি সম্মানের সঙ্গে অনুরোধ করছি, যেন আমাকে উদ্দেশ্য করে কুৎসিত ও মানহানিকর বার্তা পাঠানো বন্ধ করা হয়। খ্যাতি বা টাকার জন্য কিছু করিনি।’