বুধবার

২৫শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

১১ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুদ্ধ নয়, শ্রদ্ধার গল্প-মেসির চোখে রোনালদো

এক সময়ের ‘যুদ্ধক্ষেত্র’ ছিল ফুটবল মাঠ। দুই শিবির-রোনালদো বনাম মেসি। যুক্তির তলোয়ারে ভক্তরা একে অপরকে ক্ষত-বিক্ষত করত, যেন ‘ভবিষ্যতের রাজা’ ঠিক হবে এই বিতর্কেই। অথচ এই যুদ্ধ যখন সত্যিকারের মাঠে গড়াত, তখন দুই নক্ষত্র একে অপরকে সম্মান জানিয়ে নিজের খেলায় মাতিয়ে তুলতেন বিশ্বকে!

আর সেই সত্যটাই যেন আবার মনে করিয়ে দিলেন লিওনেল মেসি। এবার সরাসরি বলে দিলেন, ‘রোনালদোর প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা ও মুগ্ধতা রয়েছে। মাঠের প্রতিপক্ষ ছিলাম, কিন্তু মাঠের বাইরের মানুষ হিসেবে সম্পর্কটা সবসময়ই শ্রদ্ধার।’

মেসি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ব্যক্তিগত সম্পর্কটা বন্ধুত্বে গড়া না হলেও, পেশাগত সম্মানটাই বড়। কেউ কাউকে ছোট করেননি, কেউ কারও ছায়ায় হারিয়েও যাননি। বরং দুইজনই সময়কে চ্যালেঞ্জ করে লিখেছেন ইতিহাস-দু’ভাবে।

আর মাঠে? সেখানেও উত্তরটা এল ক্লাসিকো ধারারই-নির্ভুল, নিখুঁত, নির্দয়! ক্লাব বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়েছে মেসির ইন্টার মায়ামি। ইউরোপিয়ান ক্লাব পোর্তোর বিরুদ্ধে ২-১ গোলে জয় পেয়েছে তারা-এই প্রথম কোনও আমেরিকান ক্লাব এমন কিছু করল। আর এই জয়ের মূলে সেই চিরচেনা বাঁ পায়ের জাদু। ৬৮তম ফ্রি-কিক গোলটা যেন বলল, বয়স শুধু সংখ্যা! বক্সের বাইরে দাঁড়িয়ে দেখলেন গোলকিপার একটু মাঝখানে-আর সেটাকেই শাস্তি দিলেন নিখুঁত বাঁকানো শটে।

মেসি বলছিলেন, ‘গোলরক্ষক মাঝখানে ছিল, পোস্টের দুই পাশ পুরো কভার করেনি। আমি জানতাম বলটা ওর মাথার ওপর দিয়ে তোলা কঠিন হবে। তাই যা ফাঁকা ছিল, তাকেই কাজে লাগালাম।’

এই ম্যাচ জয়ের পর ইন্টার মায়ামি এখন তাকিয়ে রয়েছে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পালমেইরাসের বিরুদ্ধে। জয় মানেই নকআউটে টিকিট।

spot_img

এ বিভাগের আরও সংবাদ

spot_img

সর্বশেষ সংবাদ