বুধবার

২৫শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

১১ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ত্যাগের মহিমায় ঈদে জাগ্রত হোক ভ্রাতৃত্ববোধ

মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দুটি ধর্মীয় উৎসব হলো ঈদ। আর সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের দ্বিতীয়টি হলো ঈদুল আযহা। ঈদুল আযহা মানে ত্যাগের উৎসব। এই উৎসবটি কুরবানির ঈদ নামেও পরিচিত। ঈদুল আজহা শুধু ধর্মীয় উৎসবই নয়, বরং এই উৎসব হলো মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর উৎসব, ত্যাগের উৎসব, সম্প্রীতি-ভ্রাতৃত্ববোধ ও খাবার ভাগ করে নেওয়ার উৎসব।

এই উৎসবটাকে মহান আল্লাহতায়ালা হজরত ইবরাহিম (আ.) ও হজরত ইসমাইল (আ.) এর সম্মানে মুসলিম জাতির ওপর ওয়াজিব করে দিয়েছেন। ঈদুল আজহার পবিত্র এই দিনে মুসলমানরা ফজরের নামাজের পর পবিত্র ঈদগাহে গিয়ে ঈদুল আজহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করার পর উট, গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ, দুম্বা জবাই করার মাধ্যমে এই দিনটি উদযাপন করে থাকে।

দেশে নানা সমস্যার পরও এসেছে ঈদ। আমাদের সমাজে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের বসবাস। আমাদের নানা ধরনের ব্যস্ততার কারণে প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনের আমরা খোঁজখবর সঠিকভাবে নিতে পারি না। অন্তত এই একটি দিন উপলক্ষ করে আমরা তাদের খোঁজখবর নিতে পারি এবং আমাদের জবাই করা পশুর মাংসও তাদের বাসায় পৌঁছে দিতে পারি।

উচ্চবিত্ত হোক বা নিন্মবিত্ত সবাই তার পরিবারকে একটা দিন সুখে রাখতে চায়। তাই বিত্তবানদের উচিৎ তার আশেপাশের মানুষগুলোর খোঁজ খবর নেওয়া। এতে করে সবার সাথে সামাজিক বন্ধন মজবুত হয়। তাই মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের প্রত্যেক সামর্থ্যবান ব্যক্তির উচিত, মহান আল্লাহতায়ালার যথাযথ বিধান কায়েম করার লক্ষ্যে কোরবানি করে আল্লাহর নৈকট্য হাসিল করা।

spot_img

এ বিভাগের আরও সংবাদ

spot_img

সর্বশেষ সংবাদ