‘ধর্ষণ ও মারধর’র অভিযোগে গত ২০ মে গ্রেপ্তার হন আলোচিত গায়ক মাঈনুল আহসান নোবেল। ইডেন কলেজের ছাত্রীর ইসরাত জাহান প্রিয়ার ধর্ষণ মামলায় ডেমরা স্টাফ কোয়ারটারের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর গত ১৮ জুন নোবেলকে মামলার বাদী সেই নারীকে বিয়ে করার আদেশ দেন আদালত। পরদিন কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। আর আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম মেহেরা মাহাবুবের আদালতে এই গায়কের জামিন মঞ্চজুর করা হয়।
এর আগে, এদিন আদালতে খোশ মেজাজে কড়া নিরাপত্তায় প্রবেশ করেন নোবেল। এর কিছুক্ষণ পরই উপস্থিত হন তার স্ত্রী ইসরাত জাহান প্রিয়া। নিজেদের মধ্যে হাসিখুশিভাবে আলাপও করেন বেশ কিছুক্ষণ। এরপর আদালতের বিচারকাজ শুরু হলে প্রিয়াকে বাদীর কাঠগড়ায় ডাকেন বিচারক।
এ সময় বিচারক নোবেলের স্ত্রী প্রিয়াকে জিজ্ঞেস করেন, জামিনে আপনার কোনো আপত্তি আছে? তিনি বলেন, না। পরে উভয়পক্ষের আইনজীবীরাও বলেন, ভুল বোঝাবুঝি থেকে মামলা হয়েছিল। এখন বিষয়টা মিমাংসা হয়ে গেছে।
এরপর নোবেলকে আদালত থেকে পুনরায় গারদে নিতে যায় পুলিশ। পুরো সময়টা প্রিয়ার হাত ধরেই হাঁটছিলেন নোবেল। আদালতের লিফটে ওঠার সময়ও প্রিয়াকে সঙ্গে নেন। এর কিছুক্ষণ পর জামিনের আদেশ ঘোষণা করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহাবুব।
পরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তাদের আইনজীবীরা। জানান, শিগগিরই তাদের সংসারে নতুন মেহমান আসতে যাচ্ছে। কাজেই সুখী নতুন জীবনের জন্য সবার কাছে দোয়া চান প্রিয়া।
এদিকে, কারা সূত্রে জানা গেছে নোবেল-প্রিয়ার বিয়েতে দেনমোহর নির্ধারণ করা হয় ১০ লাখ টাকা। আর বিয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন উভয় পরিবারের সাক্ষী নাজমা হোসেন, সাবিহা তারিন, মো. খলিলুর রহমান এবং মো. সাদেক উল্লাহ ভূইয়া।